রহমত নিউজ ডেস্ক 11 October, 2023 04:58 PM
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন আনা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি সেটি বলেছি। নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, তবে জানতে চেয়েছেন। তাদের সঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। দেশে গত ৫০ বছর সেটি করা সম্ভব হয়নি, বর্তমান সরকার সেই আইন প্রণয়ন করেছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল সেই সব পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এ তিনটি জিনিস দেখলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কিনা, এটা জিজ্ঞাসা করেছে। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সকল দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।